পিপ : এবার কঠোর নিরাপত্তায় দেশের ইতিহাসে সর্ববৃহৎ রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্রকল্পের প্রথম ইউনিটের ‘ফ্রেশ নিউকিয়ার ফুয়েল’ বা ইউরেনিয়ামের চতুর্থ চালান রাজধানী ঢাকা থেকে সফলভাবে ঈশ্বরদীর রূপপুরে পৌঁছেছে।
আজ শুক্রবার (২০ অক্টোবর) সকাল সোয় ১১টায় ইউরেনিয়াম বহনকারী গাড়ীবহর প্রকল্প এলাকায় প্রবেশ করে। এ সময় প্রকল্পে কর্মরত বাংলাদেশি ও রাশিয়ানরা গাড়ি বহরকে স্বাগত জানান। ইউরেনিয়াম বহনকারী গাডীবহর সকালে রাজধানী ঢাকা থেকে রওনা হয়ে বঙ্গবন্ধু সেতু পার হয়ে নাটোরের বনপাড়া ও পাবনার ঈশ্বরদীর দাশুড়িয়া হয়ে রূপপুর প্রকল্প এলাকায় পৌঁছায়। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন পাবনার পুলিশ সুপার আকবর আলী মুন্সী। তিনি জানান, প্রথম, দ্বিতীয় তৃতীয় চালানের মতো সর্বোচ্চ নিরাপত্তা ব্যবস্থায় ইউরেনিয়ামের চতুর্থ চালান সোয়া ১১টার কিছুক্ষণ আগে রূপপুর এলাকায় প্রবেশ করে।
এর আগে গত ২৮ সেপ্টেম্বর বাংলাদেশে এসে পৌঁছায় রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্রকল্পের জ্বালানির প্রথম চালান। পরেরদিন ২৯ সেপ্টেম্বর বিশেষ নিরাপত্তা ব্যবস্থায় জ্বালানি নেওয়া হয় প্রকল্প এলাকায়। শুক্রবার (০৫ অক্টোবর) বিকেলে ভিডিও কনফারেন্সে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের উপস্থিতিতে আনুষ্ঠানিকভাবে হস্তান্তর করা হয়।
প্রথম চালানোর পর গত ৬ অক্টোবর দ্বিতীয় চালালন, ১৩ অক্টোবর তৃতীয় চালাল এবং আজ ২০ অক্টোবর চতুর্থ চালাল ঈশ্বরদীর রূপপুরে পৌঁছায়।
উল্লেখ্য, রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র দেশের সবচেয়ে আলোচিত ও বৃহৎ প্রকল্প। এই বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণে খরচ হচ্ছে প্রয়ায় ১ লাখ ১৪ হাজার কোটি টাকা। এরমধ্যে সরকারের ব্যয় ২২ হাজার ৫২ কোটি ৯১ লাখ ২৭ হাজার টাকা। আর রাশিয়া থেকে ঋণ সহায়তা হিসেবে আসছে ৯১ হাজার ৪০ কোটি টাকা।
প্রকল্প পরিচালক শৌকত আকবর এনটিভি‘কে জানান, ২০২৪ সালের প্রথম দিকে বিদ্যুৎ উৎপাদন শুরু করবে দেশের প্রথম পরমাণু বিদ্যুৎ কেন্দ্রটি। আর ২০২৫ সালের মাঝামাঝি বিদ্যুৎ কেন্দ্রটির দ্বিতীয় ইউনিট চালু হতে পারে। দুটি ইউনিট চালু হলে রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র থেকে ২৪০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন হবে। প্রথম ইউনিটের ভৌত এবং অবকাঠামোগত কাজ শেষ হয়ে গেছে ৯৫ শতাংশের বেশি। আর দ্বিতীয় ইউনিটের অগ্রগতি ৭০ শতাংশ।
ইউরেনিয়ামের চতুর্থ চালান পৌঁছাল রূপপুরে
পাবনা সদর
2 Mins Read
এই সম্পর্কিত আরো খবর পড়ুন
Add A Comment