এম এ আলিম রিপন ঃ পাবনার সুজানগর উপজেলার নাজিরগঞ্জ বাসস্ট্যান্ড হতে ফেরিঘাট সংযোগ সড়ক পর্যন্ত ২কোটি ৫০ লাখ টাকা বরাদ্দে প্রায় দেড় কিলোমিটার রাস্তার উন্নয়নকাজে কাজে নি¤œœ মানের পুরাতন ইট ব্যবহারের অভিযোগ উঠেছে কার্যাদেশ পাওয়া সংশ্লিষ্ট ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে। রাস্তার এ সংস্কারকাজে এক নম্বর ইট ব্যবহারের কথা থাকলেও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে ম্যানেজ করে নি¤œমানের পুরাতন ইট দিয়ে কাজ করছে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান বলে অভিযোগ এলাকাবাসীর। স্থানীয় এলাকার বাসিন্দারা জানান, জেলার সড়ক ও জনপথ বিভাগের আওতাভুক্ত গুরুত্বপূর্ণ এ সড়কটি দীর্ঘদিন যাবৎ সংস্কার না হওয়ায় বিভিন্ন স্থানে বড়-বড় গর্ত আর খানা খন্দের সৃষ্টি হওয়ায় চলাচলের জন্য একেবারেই অনুপোযোগী হয়ে পড়েছিল। এর ফলে দুর্ভোগের শিকার হতে হয় এ সড়কে চলাচলকারী যানবাহন ও সাধারণ মানুষদের। ফলে দুর্ঘটনা ঘটার পাশাপাশি যানবাহনসহ জনসাধারণের চলাচল করতে অবর্ণনীয় দুর্ভোগ পোহাতে হয়। এলাকাবাসীর দীর্ঘদিনের দাবীর প্রেক্ষিতে পরবর্তীতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ এ রাস্তার সংস্কার কাজ শুরু করে। কিন্তু এভাবে নি¤œমানের সামগ্রী দিয়ে রাস্তা সংস্কার কাজ হলে অচিরেই আবারো ভোগান্তি বাড়বে বলে জানান তাঁরা। শনিবার সকালে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, রাস্তার এ কাজে ব্যবহার করা হচ্ছে নি¤œমানের পুরাতন ইট। এবং রাস্তার কাজে ব্যবহারের জন্য স্তুপ করে রাখা হয়েছে আরো অনেক নি¤œ মানের ইট। এ সময় স্থানীয় এলাকার বাসিন্দা সজিব হোসেন অভিযোগ করেন, রাস্তার কাজে ব্যবহার করা ইটগুলো পোড়ামাটির চেয়েও নরম। সামান্য আঘাত পেলেই ভেঙ্গে যায়। রাস্তার সংস্কারকাজে এভাবে প্রকাশ্যে নি¤œ মানের ইটের ব্যবহার হলেও যেন দেখার কেউ নেই। এমনকি রাস্তার কাজ তদারকির দায়িত্বে থাকা সড়ক ও জনপদ বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত কারো কাজের সময় দেখা না মেলায় এ সুযোগে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান দায়সারাভাবে কাজ করে যাচ্ছে বলেও জানান। এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের ইঞ্জিনিয়ার সোহেল হোসেনের কাছে জানতে চাইলে তিনি পাবনা সড়ক ও জনপদ বিভাগের কর্মকর্তাদের সাথে কথা বলতে বলেন ।এ বিষয়ে সড়ক ও জনপথ বিভাগের পাবনার নির্বাহী প্রকৌশলী আবুল মনসুর আহমেদ(চ:দা:) জানান, নি¤œমানের ইট দিয়ে রাস্তার সংস্কারকাজ করার কোন সুযোগ নেই। ওই রাস্তার কাজে অনিয়মের অভিযোগের বিষয়টি শনিবার অবগত হওয়ার পরপরই নি¤œœ মানের পুরাতন ইট ব্যবহার না করতে নির্দেশনা প্রদান করা হয়েছে।