বিয়ের প্রলোভনে মাদরাসার ছাত্রীকে ধর্ষণ; সাঁথিয়ায় ধর্ষণের অভিযোগে মাদরাসা শিক্ষার্থী আটক

সাঁথিয়া প্রতিনিধি
পাবনার সাঁথিয়ায় বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে ধর্ষণের অভিযোগে মামলা হয়েছে গোলাম রাব্বানি (২৫) নামে এক মাদরাসা ছাত্রের বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় অভিযুক্তকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করেছে স্থানীয়রা। ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার ধুলাউড়ি কামিল মাদরাসার লিল্লাহ বোর্ডিংয়ে (ছাত্রাবাস)। এ ঘটনায় ধর্ষিতার পিতা বাদী হয়ে শনিবার রাতে সাঁথিয়া থানায় মামলা দায়ের করেছেন। অভিযুক্ত গোলাম রাব্বানি আতাইকুলা থানাধীন রানীগ্রামের আব্দুল মজিদের ছেলে ও ধুলাউড়ি কামিল মাদসারার কামিল ২য় বর্ষের শিক্ষার্থী। ধর্ষিতাও একই মাদরাসায় ৯ম শ্রেণীতে পড়ালেখা করতো।
থানায় দেয়া বাদীর লিখিত এজাহার সুত্রে জানা যায়, ধুলাউড়ি কামিল মাদরাসায় পড়ার সুবাদে একে অপরের সাথে পরিচয় এবং ওই ছাত্রীর বাড়িতে যাতায়াত করতো অভিযুক্ত গোলাম রাব্বানি। সে ওই মাদরাসার লিল্লাহবোর্ডিং এর ১১০ নং কক্ষে থেকে পড়ালেখা করতো। এক পর্যায়ে গত ২৪ এপ্রিল বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে ওই লিল্লাহ বোর্ডিয়ে নিয়ে এসে মেয়ের ইচ্ছার বিরুদ্ধে একাধিকবার ধর্ষণ করে। ঘটনার দিন ২৯ এপ্রিল (শনিবার) আবারও তাকে ওই ১১০ নং রুমে ডেকে নিয়ে আসে গোলাম রাব্বানি। এরপর তার এক বন্ধুকে দিয়ে ওই কক্ষের দরজার বাইরে থেকে তালা মেরে দেয়। বিষয়টি স্থানীয়রা টের পেয়ে তাদের আটক করে ইউপি চেয়ারম্যান জরিফ আহমেদ ও মেয়ের অভিভাবকে খবর দেয়। পরে চেয়ারম্যান অভিযুক্ত ও ধর্ষিতাকে পুলিশে সোপর্দ করে। ধুলাউড়ি ইউপি চেয়ারম্যান জরিফ আহমেদ ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেন।
সাঁথিয়া থানার ওসি তদন্ত কমল কুমার দেবনাথ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, রোববার সকালে ধষিতার ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য পাবনা মেডিক্যালে প্রেরণ করা হয়েছে। আসামীকে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে। এ ব্যাপারে সাঁথিয়া থানায় একটি ধর্ষন মামলা হয়েছে।