নির্মল সরকার
উত্তরাঞ্চলের বিভিন্ন জেলার যোগাযোগ মাধ্যম পাবনার বেড়া উপজেলার কাজীর হাট আরিচা নৌ-রুট। প্রতিদিন এ রুটে শত শত হালকা মাঝারি ও ভারী যানবাহন সহ সাধারণ মানুষ পার হয়ে থাকে। ফেরি পারাপারে যাত্রীদের থেকে অতিরিক্ত ভাড়া আদায় এবং যানবাহন পারাপারে দ্বিগুনের বেশি টোল আদায়ের অভিযোগ উঠেছে। যার ফলে চালকদের মধ্যে অসন্তোষ সৃষ্টি হয়েছে। ঘাট প্রশাসনের নজরদারির অভাব ইজারাদার ও ঘাটের কিছু দালালদের দৌরাত্বের কারণে এ রুটে যানবাহন আসা বন্ধ হওয়ার আশংকা প্রকাশ করছেন ভূক্তভোগীরা। সরেজমিনে দেখা গেছে, নিয়মিত যানবাহন থেকে টোল আদায়ে ফেরিঘাটে মানা হচ্ছে না কোনো সরকারি নিয়ম-নীতি। ইজারা আদায় কর্তৃপক্ষের দাবিকৃত ভারা দিতে রাজি না হলে ইজারাদের নিয়োগকৃত লোকজনের হাতে প্রতিনিয়ত লাঞ্চিত হতে হচ্ছে বিভিন্ন ধরনের যানবাহনের মালিক ও শ্রমিকদের। উল্লেখ, ঢাকার সাথে উত্তরাঞ্চলের এক সময়ের একমাত্র যাতাযাতের মাধ্যম ছিল কাজীর হাট আরিচা নৌ-রুটা কিন্তু আড়াই দশক আগে সিরাজগঞ্জ-টাঙ্গাইল অংশ নিয়ে ৪.৮ কি.মি. দৈর্ঘ্য বিশিষ্ট বাংলাদেশ এবং দক্ষিণ এশিয়ার দীর্ঘতম বঙ্গবদ্ধু সেতুটি ১৯৯৮ সালে ২৩ জুনের পর থেকে কাজীর হাট আরিচা নৌ-রুটে ফেরি চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। এদিকে সরকার বঙ্গবন্ধু সেতুর উপর চাপ কমানোর জন্য কাজীর হাট আরিচা নৌ-রুটে পূনরায় ফেরি চালু করার সিদ্ধান্ত নেয়। সেই মোতাবেক গত ২৭ জানুয়ারী ২০২১ সালে ঘাটটি চারটি ফেরি দিয়ে আনুষ্ঠানিক উদ্ধোধন করেন নৌ-পরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ। গত তিন বছর আগে পথচারী এবং যাত্রীদের সুবিধার্থে একটি ওয়াশ রুম তৈরী করলেও উদ্ধোধনের পর এখন পযর্ন্ত উম্মুক্ত হয়নি পথচারী এবং যাত্রীদের ব্যবহারের জন্য। ইজারা কর্তৃপক্ষের লোকজনের অনিয়মের বিষয় জানতে চাইলে বিআইডব্লিউটিসি-র কর্মকর্তা ফখরুজ্জামান অস্বীকার করলেও ঘাটে কিছু দালালদের কারণে প্রতিনিয়ত লাঞ্চিত হতে হচ্ছে বলে ভূক্তভোগীরা জানান।
এ বিষয়ে বেড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহা,সবুর আলি বলেন, যাত্রীদের সকল সুবিধা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে ঘাটের রাস্তাঘাট প্রসার সহ বিভিন্ন উন্নয়ন মূলক কাজ হাতে নেওয়া হয়েছে।
সকল অনিয়ম রোধ করে ঘাটের উন্নয়নে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবে সরকার এমনটাই প্রত্যাশা সকলের।