বিশেষ প্রতিনিধিঃ বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সংস্কৃতি বিষয়ক উপ কমিটির সদস্য, আমরা ক’জন মুজিব সেনার কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদ ও মহামান্য রাষ্ট্রপতির ছেলে আরশাদ আদনান রনি গতকাল মঙ্গলবার ২৯আগস্ট সন্ধ্যায় পাবনায় তার নিজ বাসভবনে এক সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করেন।
সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন পাবনা উত্তরবঙ্গের একটা প্রতিষ্ঠিত জেলা হিসেবে পরিচিত ছিল। ১৭ জেলার মধ্যে পাবনা একটা। ১৯টা জেলার মধ্যে একটা জেলা। কিন্তু উত্তরবঙ্গের অন্যান্য জেলা আজ অনেক উন্নত। সেই তুলনায় পাবনা পিছিয়ে আছে। আল্লাহর দরবারে অশেষ কৃতজ্ঞতা যে পাবনা থেকে আমরা রাষ্ট্রপতি পেয়েছি। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী আমার বাবাকে রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত করে সারা বাংলাদেশে কাজ করার জন্য বলেছেন। আমার বাবা তার ছেলেকেও বলি করে দিয়েছেন দেশের কাজের জন্য। তিনি আমাকে বলেছেন আমি তো পারলাম না পাবনার জন্য পাবনায় থেকে কাজ করতে। তুই যা দেখ তুই পাবনার জন্য কাজ করতে পারিস কিনা। মানুষ তোকে গ্রহণ করে কিনা। সেই অভিপ্রায় নিয়েই আমার পাবনা আসা। ৩মাস হয়েছে তার শপথ গ্রহণের। এরই মধ্যে তিনি পাবনায় এসে পাবনা থেকে ঢাকা সরাসরি রেল যোগাযোগের ঘোষণাটা দিয়ে গেছেন। সরকারি বিধি-নিষেধ না থাকলে তিনি হয়তো সেপ্টেম্বরে পাবনায় এসে উদ্বোধন করবেন।
মহামান্য রাষ্ট্রপতি পবনাকে অনেক ভালোবাসেন। তার প্রমাণ ইতোমধ্যে আপনারা পেয়েছেন। ৫শ বেডের মেডিকেল টি হিমাগারে পড়েছিল বহু বছর ধরে। এত সল্প সময়ে সেখান থেকে বের করে ওভেনে গরম করে পাবনা বাসীর কাছে পরিবেশন করতে পারবেন এটা আমি বিশ্বাস করতে পারিনি।
বিগত ১৪ ১৫ বছর পাবনার কোন উন্নয়ন হয়নি। আমি এর আগে একজন সাংবাদিককে এই প্রশ্ন করেছিলাম। সেখানে আমি একটি উত্তর পেয়েছি সেটি হলো রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র। প্রধানমন্ত্রী রূপপুর প্রকল্প পাবনাকে দিয়েছেন। আসলেই তো তাই। আসলে রূপপুর প্রকল্পের স্বপ্ন দেখেছিলেন বঙ্গবন্ধু। এবং ওই সময়ই জমি একোয়ার হয়েছিল। এবং ১৯৯৭ সালে ডক্টর ওয়াজেদ মিয়া কাজ শুরু করেছিলেন। যাইহোক পরবর্তীতে সেটা হারিয়ে যায় এবং পরবর্তীতে ২০২১ সালের অক্টোবর মাসে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী আবার ওপেন করেছেন। এটা তখন থেকেই হওয়ার কথা ছিল। এবং এটা এখন প্রায় শেষের পর্যায়ে।
তিনি তার নির্বাচনী ইশতেহারে ইছামতি নদীকে খনন ও ব্রিজসহ পার্ক নির্মাণ, শহরের রাস্তাকে প্রশস্ত করে যানজট নিরসন, পাবনা থেকে নাটোর পর্যন্ত চার লেনের রাস্তা প্রস্তুত করন ও কাজিরহাট টু আরিচা বঙ্গবন্ধু টানেলের মতো একটি টানেল প্রস্তুত করুনের কথা বলেন। তিনি আইন-শৃঙ্খলার প্রতি গুরুত্তারপ করে বলেন মাদকের বেলায় জিরো টলারেন্স নীতি প্রয়োগ হবে।
দল থেকে নৌকা প্রতীক না পেলে আপনি কি স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়ে নির্বাচন করবেন সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন নৌকা যেখানে আমি সেখানে। আমি যদি নৌকা নাও পাই যে পাবে আমি তার হয়ে কাজ করব।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন পাবনা প্রেসক্লাবের সভাপতি এবিএম ফজলুর রহমান, সহ-সভাপতি শহীদুর রহমান শহীদ, পাবনা সংবাদপত্র পরিষদের কল্যাণ সম্পাদক এস এম মাহবুব আলম, দৈনিক বিবৃতির নির্বাহী সম্পাদক কাজী মাহবুব মোর্শেদ বাবলা, দৈনিক বিপ্লবী সময়ের সম্পাদক সোহেল রানা বিপ্লব, দৈনিক আজকের ইতিহাসের সম্পাদক আবু হাসনাত মোঃ আইয়ুব, দৈনিক পাবনার বাণীর সম্পাদক আসাদুজ্জামান মিলন, বিটিভি প্রতিনিধি নজরুল ইসলাম বাঁধন, বাসস জেলা প্রতিনিধি রফিকুল ইসলাম সুইট, একুশে টিভি পাবনা জেলা প্রতিনিধি রাজিউর রহমান রুমি, এটিএন নিউজের রাইসুল ইসলাম রীজভী জয়, এশিয়ান টিভির জেলা প্রতিনিধি ফজলুল হক, যমুনা টিভির জেলা প্রতিনিধি কলিট তালুকদার, চ্যানেল ২৪ এর জেলা প্রতিনিধি শাহিনুজ্জামান শাহিন, কালের কন্ঠ জেলা প্রতিনিধি প্রবীর সাহা, পাবনা প্রেসক্লাবের ক্রীড়া সম্পাদক পাভেল মৃধা, বৈশাখী টিভির পাবনা জেলা প্রতিনিধি মিজান তানজিল, দৈনিক সমাচারের পাবনা জেলা প্রতিনিধি এম এ খালেক খান, সাংবাদিক এম এ সালাম, জাতীয় দৈনিক বিশ্ব মানচিত্রের জেলা প্রতিনিধি রাজিব জোয়ার্দ্দার, সিএনএফ টিভির চেয়ারম্যান খালেদ আহমেদ প্রমূখ।
জেলা ছাত্রলীগের সাবেক প্রচার সম্পাদক ও বিশিষ্ট সমাজসেবক ইমরুল হাসান রন্টির সার্বিক তত্ত্বাবধানে দুই ঘন্টা ব্যাপী সংবাদ সম্মেলন টি অনুষ্ঠিত হয়।
এর আগে আওয়ামী লীগের সকল অঙ্গসংগঠনের নেতৃবৃন্দকে সাথে নিয়ে রনি এক বিশাল শোভাযাত্রা করে জেলা কেন্দ্রীয় পার্টি অফিসে গিয়ে এক আলোচনা সভায় মিলিত হন।