নিজস্ব প্রতিনিধি॥ চতুর্থ পর্যায়ে প্রধানমন্ত্রীর উপহার হিসেবে আরো ৩২৫টি জমিসহ গৃহ হস্তান্তরের পর পাবনা সদর আটঘরিয়া ও সাঁথিয়া উপজেলাকে ভুমিহীন ও গৃহহীন মুক্ত ঘোষনা করা হয়েছে। এছাড়া এ জেলার ৯টি উপজেলায় আজ ঘর হস্তান্তর করা হয় ৮৭২টি। সব মিলিয়ে এ জেলায় জমিসহ ঘর দেয়া হলো প্রায় ৩ হাজার ভুমিহীনকে। গতকাল প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে যুক্ত হয়ে সারা দেশের মত পাবনাতেও এসব ঘর হস্তান্তর করেন। এসময় পাবনা থেকে যুক্ত হন জেলা প্রশাসক বিশ্বাস রাসেল হোসেন, পুলিশ সুপার আকবর আলী মুন্সী, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক রাজস্ব আবদুল্লাহ আল মামুন, আটঘড়িয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মাকসুদা আক্তার মাসু,পাবনা সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকার্তা তাহমিদা আকতার, সাঁথিয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার মাসুদ হোসেন,আটঘড়িয়া উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি ও মেয়র শহীদুল ইসলাম রতনসহ সংশ্লিষ্ট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তারা। জমি সহ ঘরে পেয়ে আটঘরিার সালেহা খাতুন বলেন মৃত্যর আগে শেষ বয়সে পায়ের নীচে মাটি আর মাথার উপর ছাদ পেয়ে য়ার পর নাই খুশী আর আনন্দিত এই বৃদ্ধা। আমার সাধ্য ছিল না নিজের একখন্ড জমিতে বসবাসের আধা পাকা ঘর নির্মানের, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আমাকে জমি ও ঘর দিয়ে বাকী জীবন চলার নিশ্চয়তা দিয়েছেন, আল্লাহ তাকে দীর্ঘজীবি করুক। শুধু সালেহা খাতুন নয় এমন স্বস্থির নিশ^াষ ও খুশীর কথা শুধুৃ নয়, শান্তিতে বসবাসসহ আয় রোজগারের সুযোগ পেয়ে উন্নতির সুযোগ পেয়েছে আঃ খালেক, ইব্রাহিম হোসেন, ময়না খাতুন, জবেদা খাতুন সহ অসংখ্য ভূমিহীন ও গৃহহীন যারা বর্তমানে প্রধানমন্ত্রীর আশ্রায়ন প্রকল্পের বসবাসের জন্য বিনামূল্য জমি ও ঘর পেয়েছেন। উল্লেখ্য, ২২ মার্চ ২০২৩ তারিখে প্রধান মন্ত্রী শেখ হাসিনা আটঘরিয়া উপজেলাকে শতভাগ ভূমিহীন ও গৃহহীন মুক্ত ঘোষনা করেন। চার দফায় এই উপজেলায় ৩০৫ জনকে ঘর প্রদান করা হয়েছে। গতকালের অনুষ্ঠানে চতুর্থ দফায় ১২০ জনকে ঘর প্রদান উদ্বধোনসহ আটঘরিয়াকে ভূমিহীন ও গৃহহীন মুক্ত ঘোষনা করেন প্রধান মন্ত্রী শেখ হাসিনা। পরবর্তীতে যাদের ২-৫ শতাংশ জমি আছে তাদেরকে বিনামূল্য ঘর নির্মান করে দেওয়ার কার্যক্রম (খ শ্রেণী) শুরু হবে। শতভাগ ভূমিহীন ও গৃহহীন মুক্ত ঘোষনার পর এই উপজেলায় প্রকৃত ভূমিহীন ও গৃহহীন আর কেউ থাকলো না।