আইএনএস : পাবনায় ২০২১ সালের চাঞ্চল্যকর শামীম হত্যার আসামিদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি ও ৪দফা দাবীতে সংবাদ সম্মেলন করেছে শোকাহত পরিবার। গতকাল সকাল বেলা ১২ টায় পাবনা প্রেসক্লাব মিলনায়তনে সংবাদ সম্মেলনে নিহত শামীমের স্ত্রী মোছা: রিক্তা-আরা খাতুন লিখিত বক্তব্যে ৪ দফা এবং আসামিদের ব্যবহ্নিত আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধারসহ দৃষ্টান্তমূলক শস্তিদাবী করেন। লিখিত বক্তব্যে উল্লেখ করা হয়, বিগত ২০২১ সালের ২৮ ডিসেম্বর পাবনা সদর উপজেলার হিমায়েতপুর ইউনিয়নের নাজিরপুর হাটপাড়া প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পাশে ইউপি নির্বাচনত্তোর সহিংসতায় নৌকা প্রার্থীর নির্বাচনী অফিসের সামনে প্রতিপক্ষের গুলিতে নাজিরপুর গ্রামের শামীম হোসেন নিহত হয়। ওই নির্বাাচনে শামীম হোসেন নৌকা প্রার্থীর পক্ষে অবস্থন নেওয়ার কারণে এই হত্যার ঘটনা ঘটে বলে দাবী করে রিক্তা-আরা খাতুন লিখিত বক্তব্যে বলেন, হত্যাকান্ডের সাথে জড়িতদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করলেও তারা পুলিশী প্রহরায় নিরাপদে অবস্থান করছে। তিনি বলেন, আসামিদের নিকট থেকে অন্যান্য অস্ত্র ও গুলি উদ্ধার করা হলেও যে অস্ত্র দিয়ে শামীম হোসেন কে গুলি করে হত্যা করা হয়েছিল সেই অস্থ্র আজও উদ্ধার করতে পারেনি পুলিশ। তিনি বলেন, শামীম হত্যা মামলার মূল চার্জসীট থেকে অস্ত্র উদ্ধার পর্বের পুরো সত্য ঘটনাবলী আড়াল করা হয়েছে। আসামিরা জামিনে মুক্তি পেয়ে এলাকায় এখন সন্ত্রাসী রাজত্ব কায়েম করেছে। হুমকীর শিকারে পরিণত হয়েছে নিহত শামীমের পরিবার। সংবাদ সম্মেলনে চার দফা দাবীর মধ্যে, যে অস্ত্র দিয়ে গুলি করা হয়েছিল সেই অস্ত্র উদ্ধার করে মামলায় মূল চার্জসীটে সংযুক্ত করতে হবে, শামীম হত্যাকান্ডের আটক ২ নং আসামির স্বীকারোক্তিতে উদ্ধারকৃত বিদেশি পিস্তল, গুলি ও ম্যাগাজিন সম্পূরক চার্জসীটের মাধ্যমে মূল মামলায় সংযুক্ত করতে হবে, পাবনার পুলিশ প্রশাসন শামীম হত্যাকান্ডের আসামিদের নিরাপত্তা বিধানে দায়িত্ব পালন করবেন না বাদীর নিরাপত্তার দিকে দৃষ্টি রাখবেন, এই হত্যাকান্ডের ব্যপারে জেলা আওয়ামী লীগের নেতৃত্বের নজর দেওয়ার আহবান জানান দাবীর মধ্যে। সংবাদ সম্মেলনে নিহত শামীমের পরিবারের সদস্য, নূর আলী প্রাং, আবু দাউদ রণি, রাশেদ খান মিটনসহ নিকটাত্মীয় ও গ্রামবাসী উপস্থিত ছিলেন।