চাটমোহর প্রতিনিধি
পাবনার চাটমোহরে বৈদ্যুতিক মিটার চুরির ঘটনায় গ্রাহরা আতংকিত হয়ে পড়েছেন। ফলে মিটার চুরি রোধে নানা উপায় অবলম্বন করা হচ্ছে। কারণ চুরি যাওয়া মিটার ফেরত পেতে টাকা গুনতে হচ্ছে। মিটার চুরির পর চোরের লিখে রেখে যাওয়া মোবাইল নম্বরে যোগাযোগ করতে বলা হয়। যোগাযোগ করে চাহিদামতো টাকা দিলেই মিটার ফেরত পাওয়া যায়। গভীর ও অগভীর নলকূপ,রাইস ও ফ্লাওয়ার মিলের মালিকরা মিটার হারানোর শঙ্কায় রয়েছেন।
ইতোমধ্যে চাটমোহর পৌর আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক বড় শালিখা মহল্লার বাসিন্দা জুয়েল মির্জাসহ কয়েকজনের মিটার চুরির পর টাকার বিনিময়ে ফেরত পাওয়া গেছে। এছাড়াও চাটমোহর পৌরসভার সাবেক মেয়র প্রফেসর আব্দুল মান্নানের রাইস মিলের মিটারও একই কায়দায় চুরি হয়। গত এক মাসে কয়েকটি মিটার চুরির ঘটনা ঘটেছে।
এদিকে মিটার চুরি রোধ করতে গ্রাহকরা নানা উপায় অবলম্বন করছেন। লোহার খাঁজা তৈরি করে মিটারের চারপাশে স্থাপন করছেন। কারণ মিটার চুরি হলে টাকা দেওয়ার পাশাপাশি একটি প্রতিষ্ঠান অন্ততঃ ৪/৫ দিন বন্ধ থাকছে।
চাটমোহর থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জালাল উদ্দিন জানান,আমরা অভিযোগ পেয়েছি। চোর ধরতে পুলিশ কাজ করছে। চুরিরোধে সবাইকে সচেতন ও সতর্ক থাকতে হবে।
পাবনা পল্লীবিদ্যুত সমিতি-১ এর জেনারেল ম্যানেজার আকমল হোসেন জানান,ট্রান্সফরমার,মিটার ও তার চুরি রোধে আমরা সচেতনতা মূলক ব্যবস্থা হিসেবে মাইকিং করি,মোটিভেশন করি,উঠান বৈঠক করি। তারপরও চুরি হচ্ছে। মিল কারখানার মালিক,গভীর-অগভীর নলকূপ কর্তৃপক্ষসহ গ্রাহকগন সচেতন হলে মিটার চুরি কমবে।