সাঁথিয়া প্রতিনিধি
পাবনার সাঁথিয়ায় অনৈতিক কাজে বাধা প্রদানকারী নিরীহ মানুষের নামে হয়রানী করতে আদালতে অভিযোগ দিয়েছে এক লম্ফটের বাবা। হয়রানিমূলক এ মামলায় ফুঁসে উঠেছে এলাকাবাসী। হয়রানীমূলক অভিযোগ প্রত্যাহারসহ প্রবাসী স্ত্রীর সাথে পরকিয়ায়লিপ্ত ওই লম্ফটের শাস্তির দাবী জানান৪৫ী। বর্তমানে মামলাটি সাঁথিয়া থানায় তদন্তাধীন রয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার ধুলাউড়ি ইউনিয়নের কাশিনাথপুর গ্রামে।
অভিযোগে জানা যায়, উপজেলার ধুলাউড়ি ইউনিয়নের কাশিনাথপুর গ্রামের সিরাজুল নামে এক সৌদি প্রবাসী স্ত্রীর সংগে পাশর্^বর্তী আলোকদিয়ার গ্রামের রাজার পরকিয়া গড়ে উঠে। এরই সুবাদে নানা কৌশলে একে অপরের সাথে বিভিন্ন সময় বিভিন্ন জায়গায় ঘুরতে যেত। তাদের এ হেন কার্যকলাপ সিরাজুলের পরিবার কোনভাবেই মেনে নিতে পারতেন না। তাকে বার বার নিষেধ করা সত্ত্বেও গত ২২ মার্চ ২০২৩ই তারিখে ঘটনার দিন রাত ৮টার দিকে প্রবাসী সিরাজুলের স্ত্রীর ঘরে ঢুকে অনৈতিক কাজে লিপ্ত হয় লম্ফট রাজা। বিষয়টি টের পেয়ে সিরাজুলের পরিবার তাদের ঘরের দরজার বাইরে থেকে শিকলে তালা মেরে প্রতিবেশীদের ডাকাকাকি করে। এ সময় প্রতিবেশীরা এগিয়ে এলে তাদের সামনে ঘরের তালা খুলে ভিতরে প্রবেশ করে রাজাকে খুজতে থাকে। এক পর্যায়ে সবার উপস্থিতিতে খাটের নীচে থেকে রাজাকে বের করা হয়। পরে জিজ্ঞাবাদের এক পর্যায়ে উপস্থিত লোকজনের মধ্যে থেকে উত্তেজিত হয়ে রাজাকে কয়েকটি চড় থাপ্পর দেয়। খবর পেয়ে রাজার ভাই মাসুদ,বাবা জাহাঙ্গীরসহ সন্ত্রাসীদের নিয়ে দেশীয় অস্ত্রশস্ত্রে সজ্জিত হয়ে নিয়ে ওই বাড়িতে হামলা চালিয়ে কৌশলে রাজাকে ছাড়িয়ে নিয়ে যায়। এসময় নিরস্ত্র গ্রামবাসী তাদের অস্ত্রের কাছে ভয়ে প্রতিবাদ করতে পারেনি। এ দিকে সন্ত্রাসী লম্ফট রাজাকে ছাড়িয়ে নিয়ে গিয়ে পিতা জাহাঙ্গীর প্রামাণিক বাদী হয়ে উল্টো সিরাজুলের পরিবারসহ প্রায় ১০জন নিরিহ গ্রামীবাসীদের নামে পাবনা বিজ্ঞ জুডি: ম্যাজি: আমলী আদালতে অভিযোগ দায়ের করেন। এসব মিথ্যা বানোয়াট হয়রানীমূলক অভিযোগের তীব্র প্রতিবাদ জানিয়ে গতকাল ১৫ এপ্রিল শনিবার দুপুরে কাশিনাথপুর গ্রামে বিক্ষোভ ও মানববন্ধন করে। এ সময় ভুক্তভোগীরা জানান, অনেতিক কাজের প্রতিবাদ করতে গিয়ে যদি মামলা খেতে হয় তাহলে এর চেয়ে দু:খ কিছু নেই। তারা অবিলম্বে এই মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারসহ সন্ত্রাসী লম্ফট রাজার দুষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবী জানান। ওই মামলার ১ নং আসামী আব্দুস সালাম জানান, আমি আমার মাকে নিয়ে ওই সময় ঢাকায় অবস্থান করছিলাম। আমি এ বিষয়ে কিছুই জানি না, অথচ আমাকে এ মামলার প্রধান আসামী করা হয়েছে। এলাকাবাসী ও বিষয়টির সত্যতা নিশ্চিত করেন। অভিযোগ রয়েছে রাজা বিভিন্ন মানুষকে মামলার ভয় দেখিয়ে চাঁদা আদায় করছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক রাজার এক আত্মীয় জানান, আমি তার আত্মীয় হলেও কি লাভ সে আমাকেও ছাড়লো না। আমি ঋণ করে ১৫ হাজার টাকা দিয়েছি ওই রাজাকে। এ বিষয়ে অভিযুক্ত রাজা সকল বিষয়ে অভিযোগ অস্বীকার করে জানায় আমি ওই বাড়িতে পাওনা টাকা আনতে গিয়েছিলাম। তারাই আমাকে মারপিট করেছে। মামলা ভয় দেখিয়ে টাকা আদায়ের কথাও অস্বীকার করেন তিনি।
ধুলাউড়ি ইউপি চেয়ারম্যান জরিফ আহম্মেদ মাস্টার ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, একজন ব্যাক্তির জন্য সারা গ্রামের মানুষের অশান্তি হতে পারে না। আমি ওই লম্পট রাজার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবী করছি।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ধুলাউড়ি পুলিশ ফাড়ির আইসি তোজাম্মেল হোসেন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, বর্তমানে মামলাটি বর্তমানে তদন্তনাধীন রয়েছে।
এলাকাবাসীর বিক্ষোভ ও মানবন্ধন; সাঁথিয়ায় অনৈতিক কাজে বাধা দেয়ায় মামলা
সাঁথিয়া
3 Mins Read
Previous Articleষড়যন্ত্রের প্রতিবাদে জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগ সভাপতির সংবাদ সম্মেলন
Next Article সাঁথিয়ায় কৃষকদের সিআইজি কংগ্রেস সমাবেশ অনুষ্ঠিত
এই সম্পর্কিত আরো খবর পড়ুন
Add A Comment